শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর বিভিন্ন লীলারহস্য

 



শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভুর সঙ্গে বিভিন্ন গো-পালেরা ছিলেন, কৃষ্ণলীলায় সখারা এসেছিলেন এবং তাঁরা শৈশব লীলা করেছিলেন নিত্যানন্দ প্রভুর সেঙ্গ। তাঁরা নিয়মিত নাটক করতেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের খেলা ছিল ভাগবতে রামায়ণে যে সমস্ত লীলা আছে, রামলীলা, নানা অবতার লীলা তাঁরা অভিনয় করতেন। প্রতিবেশীরা আশ্চর্য হতেন যে, এই বালকেরা কি করে জানলো কি কি হলো, কোথায় হলো, কোনও রকম শিক্ষা তো তাদের দেওয়া হয়নি।

একটি সুন্দর লীলা হয়েছিল– নিত্যানন্দ প্রভু রামলীলা করছিলেন, লক্ষ্মণের অভিনয়। একটা ছেলে ছিল ইন্দ্রজিৎ, সে শক্তিশেল মারল। নিত্যানন্দ প্রভু অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। আর সেই সঙ্গে তাঁর মা পদ্মাবতী দেবী এসেছেন, নিত্যানন্দ প্রভুর তখন প্রসাদের সময় হয়েছে। মায়েরা যেমন খেলার মধ্যে গিয়ে বলেন, খাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, স্নান করতে হবে চলো; সেইভাবে বাচ্চারা সবাই প্রস্তুত কিন্তু নিত্যানন্দ প্রভু অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখনও শক্তিশেল বিদ্ধ। নিশ্বাস প্রশ্বাসও নেই। তখন দেখা গেল যে মারাই গেছেন, সবাই ডাক্তার ডেকে আনতে গেল। কেউ স্থির করতে পারলেন না, কি করে কি করা যায়।

ছেলেদেরকে লোকেরা তখন বলল, ও কি করছিল? ছেলেরা বলল,– ও তো রামলীলা করছিল। লক্ষ্মণ ইন্দ্রজিতের শক্তিশেলে বিদ্ধ হয়েছে, হনুমান গন্ধমাদন পাহাড় থেকে বিশল্যকরণী নিয়ে এসে সেই পাতার রস দিলে লক্ষ্মণের চেতনা ফিরবে। তাই আমাদের সেই লীলা পূর্ণ করতে দাও। তখন সেই ছেলেটাকে ডেকে আনল– কে হনুমান হয়েছে– তাড়াতাড়ি যাও পাহাড়ে। সে সেখানে গিয়ে কাঁধে করে একটি ছোট গাছ উঠিয়ে এনে নিত্যানন্দ প্রভুর নামে সেই গাছের পাতার রস দিল। তখন নিত্যানন্দ প্রভুর চেতনা ফিরে এলো। তাঁরা লীলায় এতই মগ্ন ছিলেন।

তাঁরা এই সব লীলা প্রকাশ করছিলেন। এইভাবে অনেক সুখের দিন কেটেছে বিভিন্ন বন্ধুদের সঙ্গে, যাঁরা বয়স্ক ছিলেন তাঁরাও নিত্যানন্দ সম্বন্ধে আলোচনা করছিলেন।

হাড়াই ওঝা ছিলেন ব্রাহ্মণ। তিনি তাঁর ছেলেকে কাছাকাছি রাখতেন। একদিন এক সন্ন্যাসী এসেছেন হাড়াই ওঝার বাড়ীতে। সন্ন্যাসী কৃষ্ণকথা আলাচনা করলেন এবং পরে প্রসাদ পেলেন। এইভাবে এক-দুই দিন কেটে গেল। তিনি চলে যাবার সময় হলে হাড়াই ওঝা বললেন, আপনার জন্য কিছু সেবা করতে পারি?

তিনি বললেন, আমি যা চাইব তা-ই তুমি দেবে? তখন ‘নি-ত্যা-ন-ন্দ’ বলে কেঁদে উঠেছেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি আর অচেতন হয়ে পড়লেন। জেগে উঠে মনে করলেন, এটা কি সত্যি? আমি নিত্যানন্দকে দেব? ব্রহ্মচারী হিসাবে সন্ন্যাসীর সেবা করবে? হাড়াই পন্ডিতের মাথা ঘুরছে– নিত্যানন্দ ছাড়া তো বাঁচব না। তখন তিনি ভাবছেন, ব্রাহ্মণের কাছে কথা তো দিয়েছি। তো আমি যদি এখন মিথ্যা কথা বলি, নিত্যানন্দ তা হলে ধর্মের নিয়ম ভুল শিখবে। তাঁর ছেলেকে দৃষ্টান্ত দেওয়ার জন্য তাকে তার সেই উচ্চ পর্যায়ের আদর্শের প্রতিশ্রুতি অনুসারে নিত্যানন্দকে সন্ন্যাসীর সাথে দিতে রাজী হলেন। তখন তাঁর চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়ছে সব সময়ে । তাঁরা চলে গেলে হাড়াই ওঝা নিত্যানন্দের বিরহে প্রাণত্যাগ করলেন।

অনেক বছর পর, নিত্যানন্দ প্রভু এই পৃথিবী থেকে চলে যাবার পর জাহ্নবী দেবী একচক্রে গিয়েছিলেন। এক বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে দেখা হলো– তাঁর চোখে অশ্রু– জপ করছিলেন। তিনি শুনলেন– ‘নিত্যানন্দ! নিত্যানন্দ!’ বলে কান্নাকাটি করছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন– ‘নিত্যানন্দ’ বলে কান্নাকাটি করছেন কেন? তিনি বললেন– কেন নয়? তিনি ছিলেন এই গ্রামের প্রাণস্বরূপ, তাঁকে ছাড়া আমরা কিছু জানতাম না, তিনি সবাইকে দিব্য আনন্দ দান করতেন। হাড়াই ওঝা কেন ওকে কোথায় দিলেন, আরও কত ছেলে ছিল, সারা গ্রাম প্রাণশূণ্য হয়ে গেল। তাদের জীবন ধারনের আর কোন উদ্দেশ্য নেই। তাই কেউ কেউ নবদ্বীপে চলে গেল। — এই বলে আবার কান্নকাটি শুরু করলেন। জীবনভর তিনি নিত্যানন্দের বাল্যলীলা চিন্তা করছিলেন।

নিত্যানন্দ প্রভু বারো বছর বয়সে বেরোলেন সারা ভারতবর্ষ তীর্থ করতে। সমস্ত পবিত্র নদীগুলি পবিত্র করলেন– এই সব নদীগুলি তাঁর সঙ্গ লাভের জন্য অপেক্ষা করছিল– ঠিক যেমন বলরাম নানা তীর্থে ঘুরছিলেন। বৃন্দাবনে গেলেন, সেখানে গাভীরা, ব্রজবাসীরা, হরিণরা অভ্যর্থনা প্রার্থনা করছে– বৃন্দাবনে পুনরায় তিনি এসেছেন বলে।

তারপর তিনি শুনলেন যে, শ্রীকৃষ্ণ গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু রূপে এসেছেন আর তাঁর সংকীর্তন যজ্ঞ শুরু করেছেন– এখন নবদ্বীপে যাওয়ার সময় হয়েছে। সেখানে তিনি নন্দনাচার্যের বাড়িতে ছিলেন (আমাদের মন্দিরের পাশে যে নিত্য মন্দিরটি ওটি নন্দনাচার্যের বাড়ি ছিল)। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বললেন– আমার নিত্য সঙ্গী, আমার অংশ, আমার ভাই নিত্যানন্দ– সে এসেছে এখানে, তোমরা তাকে খুঁজে নিয়ে এসো।

ভক্তরা খুঁজতে বেরুলেন, লোকেদের দ্বারে দ্বারে টোকা দিয়ে– লোকেরা বলতে লাগল, কী করছো, আমরা এখন বিশ্রাম করছি, ইত্যাদি, নিত্যানন্দ বলে এখানে কেউ নেই। সর্বত্র খুঁজে খুঁজে তারা ফিরে এলেন শূণ্য হাতে।

মহাপ্রভু বললেন, তোমরা পাবে না, ভগবানকে ঐভাবে খুঁজে পাবে না। তিনি নিজেকে প্রকাশ করলে তবে পাবে। কেবল ভক্তির মাধ্যমেই ভগবানকে খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন আমি খুঁজে পেতে পারি, তোমাদের যেতে হবে না, আমি যাবো। সে আমার কাছ থেকে লুকোতে পারবে না।

পরের দিন মহাপ্রভু কীর্তনদল নিয়ে নবদ্বীপ নগর গেলেন। যখন নন্দনাচার্যের বাড়ির কাছে গেছেন, নিত্যানন্দ প্রভু কীর্তনের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন– করতাল মৃদঙ্গ। তখন তিনি লাফিয়ে উঠেছেন। মহাপ্রভুও সোজাসুজি নন্দনাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পড়েছেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তখন নিত্যানন্দ প্রভুকে জড়িয়ে ধরে ‘নি-ত্যা-ন-ন্দ’ বলে চেঁচিয়ে উঠেছেন। আর নিত্যানন্দ প্রভু ‘গৌ-রা-ঙ্গ’ বলে চেঁচিয়ে উঠেছেন! দুজনে দুজনের দিকে ছুটে গেলেন– তাঁদের অশ্রু ঝড়ে পড়েছে। আর সমস্ত ভক্তরা– ‘গৌরহরি বোল হরিবোল’ বলে একই আনন্দ আস্বাদন করতে লাগলেন। সমস্ত দেবতারা দেখতে এসেছিলেন কৃষ্ণ-বলরামের মিলন। তখন তাঁরা পুষ্পবৃষ্টি করছিলেন আকাশ থেকে। এই যে মহামিলন– লোকে দেখে বলতে লাগল কারা এরা, এত সুন্দর, আগে তো দেখিনি এবং সকলে ‘নিতাই গৌরাঙ্গ’ বলে যোগ দিল।

নবদ্বীপে তাঁদের অনেক লীলা আছে, বিশেষ করে শ্রীবাস ঠাকুরের বাড়িতে– সেখানে নিত্যানন্দ প্রভু বাল্যভাব অবলম্বন করতেন। এক সময়ে শচীমাতা জেগে উঠে নিমাইকে ডেকে বলছেন– আমি একটা স্বপ্ন দেখলাম বুঝতে পারলাম না; বলতে পারো কি এর অর্থ? — দেখলাম যেন কৃষ্ণ বলারামের বিগ্রহ এখানে আছে, আমি ভোগ নিবেদন করছি। সামনে দুটি শিশু, তুমি আর নিত্যানন্দ যেন। নিত্যানন্দ সেই বিগ্রহকে বলছে– এই ভোগ তোমার জন্য নয়, এখন কলিযুগ, এটা চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্য, গৌরাঙ্গের জন্য!

নিমাই তখন বললেন, মা, নিত্যানন্দ বোধ হয় খুব ক্ষুধার্ত, নিত্যানন্দকে একটুক দুপুরে খাওয়াতে হবে। তোমার বিগ্রহগুলি খুব কাজের তো, কিছু লীলা করছে, কে বুঝতে পারে এই সব লীলা। বলো তো আমি এখনি গিয়ে নিত্যানন্দকে নিমন্ত্রণ করে আসি।

শচীমা তো খুব খুশি গৌর নিতাইকে খাওয়াবেন,– তক্ষুণি ছুটলেন রান্নাঘরের দিকে। মহাপ্রভু তাঁকে খুঁজতে গিয়ে শুনলেন তিনি গঙ্গায় সাঁতার কাটতে গেছেন। খবর পেয়ে নিত্যানন্দ সাঁতরে কাছে এলেন। নিমাই তখন বললেন, শোনো, আজ তুমি আমার সঙ্গে প্রসাদ পাবে, শচীমা রান্না করছেন। তবে খবরদার কোনও পাগলাগি করবে না। নিত্যানন্দ প্রভু বলছেন, বলো কি! আমি তো পাগলামি করি না, তুমি তো পাগলামি করো। এইভাবে দুই ভাই- এ কথা বলছিল– দেখা যাক কে পাগলামি করে।

এদিকে শচীমা ভোগ নিবেদন করেছেন কৃৃষ্ণ বলরামের সামনে। আর গৌর নিত্যানন্দের জন্য থালা পেতেছেন পরম আনন্দে তিনি তিন খানা থালা পেতেছেন– কে জানে কেন। হিসাব হারিয়ে ফেলেছেন, যদিও দু’জন আছেন সেখানে। ভেতরে গেছেন বহু রকম ব্যঞ্জন রান্না করেছেন, সেগুলি নিয়ে যখন এসেছেন, দেখছেন আসনে গৌর নিতাই কই? বিগ্রহগুলি– কৃষ্ণ বলরাম বসে প্রসাদ খাচ্ছে। তিনি তখন সঙ্গে সঙ্গে মূর্চ্ছা গেছেন। পরে জেগে উঠেছেন, তখন নিমাই এসে গেছেন- কি হয়েছে মা তোমার। তিনি দেখেন কৃষ্ণ বলরামের জায়গায় গৌরাঙ্গ নিত্যানন্দ। তখন তিনি কাঁদতে শুরু করেছেন এবং ছুটে গিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন।

একদিন নিত্যানন্দ প্রভুকে মহাপ্রভু বলছেন– তোমার ব্যাসপূজা করবো আগামীকাল। তখন শ্রীবাস ঠাকুরের বাড়িতে আগের দিন অধিবাস করলেন। বলে দিলেন, বাইরের লোক যেন কেউ না আসে এখানে শুধু ভক্তরা থাকবে। বড় কীর্তন হচ্ছে, নৃত্য করছে, একবার নিত্যানন্দ প্রভু চেষ্টা করছেন, মহাপ্রভুর চরণ থেকে ধুলো নিতে, আবার পরের বার মহাপ্রভু চেষ্টা করছেন নিত্যানন্দ প্রভুর চরণ থেকে ধুলো নিতে। একে অপরকে আলিঙ্গন করছেন, পরম আনন্দে কীর্তন করছেন দীর্ঘ সময় ধরে। তারপর পূজার উপকরণ জোগাড় করা হয়েছে, মহাপ্রভু তখন বিশ্রাম করতে যাবেন। নিত্যানন্দ প্রভু তখন ব্রহ্মচারী দন্ড ভেঙে, কমন্ডলু ভেঙে ফেলে দিয়েছিলেন। কেউ জানে না কেন এটা করলেন। চৈতন্যভাগবতে বলা হয়েছে অনেক কারণ হতে পারে– আগে থেকে  যদি কেউ মনে করে যে, সে রসিক আলোচনা করবে– সেটা একটা বড় অপরাধ। তাই সেটা দেখানোর জন্য তাঁর দন্ড ভঙ্গ করেছিলেন। তিনি হচ্ছেন বর্ণাশ্রমের ঊর্ধ্বে, তিনি হচ্ছেন ভগবান স্বয়ং, তাই বিভিন্ন ধারণা হয়েছে।

পরের দিন সকাল বেলায় শ্রীবাস ঠাকুরের ভাই দেখলেন যে কমন্ডলু সব ভাঙা। মহাপ্রভু তখন দন্ডটাকে নিজে হাতে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় ফেলে দিয়ে এলেন। তারপরে ব্যাস পূজার সময়ে শ্রীবাস ঠাকুর নিত্যানন্দের হাতে দিলেন মালাটা। সেই মালাটা, ব্যাসদেবের যে উৎস তাঁর কাছে অর্পণ করলেন, যিনি হচ্ছেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। তখন মহাপ্রভু তাঁর ষড়ভুজ রূপ দর্শন করালেন। সেখানে দন্ড, কমন্ডুল, বাঁশরী ছিল, নিত্যানন্দের হল ছিল। নিত্যানন্দ যখন এই সব দেখলেন তিনি পরম আনন্দে মূর্চ্ছা গেলেন। মহাপ্রভু বলরাম-ভাব- এ ছিলেন এবং তিনি বলরামের অনুকরণ করছিলেন– এ্যায় বারুণি দাও, মধু দাও। ছেলেরা ভক্তরা জানে না কি করবে, তখন একপাত্র গঙ্গাজল নিয়ে এসে দিয়েছেন। তখন সেই মধু সবাইকে বিতরণ করলেন। সেই লীলা করে নিত্যানন্দ প্রভুর কাছে এলেন– তুমি যেন কোন অপরাধ নিও না আমার। মহাপ্রভুর থেকে সব কিছুর উৎস, বলরাম তার অবতার, তাই তিনি বলরাম লীলা প্রকাশ করলেন। যখন ষড়ভূজ রূপ দর্শন করালেন মহাপ্রভু, নিত্যানন্দ প্রভু তখন মূর্চ্ছা গেছেন– ভক্তরা কেউ তাঁকে জাগাতে পারছেন না, চিন্তিত। কীর্তন শুরু করলে তিনি জেগে উঠলেন। এই সব ছিল তাঁর লীলা। গুরুদেব যে পূজা গ্রহণ করেন তা ব্যাসদেবের প্রতিনিধি হিসাবে। মোটের ওপর সমস্ত পূজাই হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের জন্য। শেষে মহাপ্রভু বললেন– আজকের মতো ব্যাসপূজা সম্পূর্ণ হলো।

নিত্যানন্দ প্রভুর বিভিন্ন লীলা রয়েছে সেইগুলি আলোচনা করে অবশ্যই সকলে তাঁর কৃপা লাভ করতে পারেন এবং কৃষ্ণপ্রেম লাভ করতে পারেন। অবশ্য যারা বৈষ্ণব অপরাধ করে, সেটা মস্ত বড় বাধা। সেই সম্বন্ধে খুব সতর্ক থাকতে হবে, যাতে এই জন্মেই আমরা কৃষ্ণের কাছে যেতে পারি গুরু গৌরাঙ্গের কৃপায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন