শ্রীগৌরাঙ্গের তাৎপর্য বুঝতে শ্রীরাধিকার উপলব্ধি

 


ব্রহ্মসংহিতায় আদি পুরুষ শ্রীগোবিন্দের বন্দনা প্রসঙ্গে এই শ্লোকটি রয়েছে–

আনন্দচিন্ময়রসপ্রতিভাবিতাভি-

স্তাভির্য এব নিজরূপতয়া কলাভিঃ।

গোলোক এব নিবসত্যখিলাত্মভূতো

গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি।।

“পরম আনন্দবিধায়ক হ্লাদিনী শক্তির মূর্ত প্রকাশ শ্রীমতী রাধারাণীর সঙ্গে যিনি স্বীয় ধাম গোলোকে অবস্থান করেন, এবং শ্রীমতি রাধারাণীর অংশপ্রকাশ, চিন্ময় রসের আনন্দে পরিপূর্ণ ব্রজগোপীরা যাঁর নিত্যলীলাসঙ্গিনী, সেই আদিপুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি।”

শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃত মহাকাব্যের আদিলীলা খন্ডের চতুর্থ পরিচ্ছেদেও শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী ব্রহ্মসংহিতা থেকে এই শ্লোকটি উদ্ধৃত করে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের পরম আশ্রয় শ্রীমতী রাধারাণীর ভাব বর্ণনা করতে চেয়েছেন।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিজের সচ্চিদানন্দ রূপের মধ্যে রাধারাণীর অংশরূপে শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় সহচরীরা তিনটি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত– তাঁরা শ্রীকৃষ্ণের তিন প্রকার শক্তি– ‘কৃষ্ণকান্তাগণ দেখি ত্রিবিধ প্রকার’– লক্ষ্মীগণ, দ্বারকার মহিষীগণ এবং বৃন্দাবনের ব্রজগোপিকাগণ। শ্রীমতি রাধারাণী থেকে এই সমস্ত কান্তাদের বিস্তার হয়েছে–

শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃত গ্রন্থে বলা হয়েছে,

অবতারী কৃষ্ণ যৈছে করে অবতার।

অংশিনী রাধা হৈতে তিন গণের বিস্তার।। (চৈঃ চঃ আদি ৪/৭৬)

অবতারী শ্রীকৃষ্ণ থেকে যেভাবে সমস্ত অবতারদের বিস্তার হয়, তেমনই শ্রীমতি রাধারাণী থেকে সমস্ত লক্ষ্মী, মহিষী ও ব্রজদেবীরা প্রকাশিতা হন।

বৈভবগণ যেন তাঁর অঙ্গ-বিভূতি।

বিম্ব-প্রতিবিম্ব-রূপ মহিষীর ততি।। (চৈঃ চঃ আদি ৪/৭৭)

লক্ষ্মীগণ তাঁর বৈভব-বিলাসাংশরূপ।

মহিষীগণ প্রাভব-প্রকাশস্বরূপ।। (চৈঃ চঃ আদি ৪/৭৮)

লক্ষ্মীদেবীরা হচ্ছেন তাঁর বৈভব-বিলাস এবং মহিষীগণ হচ্ছেন তাঁর প্রাভব প্রকাশ।

আকার স্বভাব-ভেদে ব্রজদেবীগণ

কায়ব্যূহরূপ তাঁর রসের কারণ।। (চৈঃ চঃ আদি ৪/৭৯)

ব্রজদেবীদের আকার এবং স্বভাব বিভিন্ন। তাঁরা হচ্ছেন শ্রীমতি রাধারাণীর কায়ব্যূহরূপ এবং তাঁরা তাঁর রস বিস্তার করেন। লক্ষ্মী হচ্ছেন শ্রীরাধিকার আংশিক প্রকাশ।

বহু কান্তা বিনা নহে রসের উল্লাস।

লীলার সহায় লাগি’ বহুত প্রকাশ।। (চৈঃ চঃ আদি ৪/৮০)

বহু কান্তা রূপ না হলে ভগবানের প্রেমের রস আস্বাদনের আনন্দ উপভোগ করা যায় না। তাই ভগবানের লীলাবিলাসে সহায়তা করার জন্য শ্রীমতী রাধারাণী বহুরূপে প্রকাশিত হন।

তার মধ্যে ব্রজে নানা ভাব-রস-ভেদে।

কৃষ্ণকে করায় রাসাদিক-লীলাস্বাদে।। (চৈঃ চঃ আদি ৪/৮১)

ব্রজে বিভিন্ন যূথে বিভিন্ন ভাব ও রস অনুসারে গোপিকারা শ্রীকৃষ্ণকে রাসনৃত্য ও অন্যান্য লীলাবিলাসের রস আস্বাদন করান।

উপরোক্ত শ্লোকগুলির তাৎপর্য শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ লিখেছেন, “শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীমতী রাধারাণীর দেহ ভিন্ন হলেও, তাঁরা এক। শ্রীকৃষ্ণ পুরুষাবতার আদি বিভিন্ন অবতারে নিজেকে বিস্তার করেন। তেমনই শ্রীমতী রাধারাণী, লক্ষ্মী, মহিষী, এবং ব্রজগোপীরূপে নিজেকে বিস্তার করেন। সেই সমস্ত কান্তাগণ তাঁর অংশ-প্রকাশ। শ্রীকৃষ্ণের বিষ্ণুরূপের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এই কান্তরূপের বিস্তার হয়। আদিরূপ থেকে এই বিস্তৃতিকে বিম্ব এবং প্রতিবিম্বের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আদিরূপের সঙ্গে প্রতিবিম্বিত রূপের কোন পার্থক্য নেই। শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তির কান্তারূপে প্রতিবিম্ব স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ থেকে অভিন্ন।

“শ্রীকৃষ্ণ যখন স্বয়ং নিজেকে বিস্তার করেন, তখন তাঁকে বলা হয় বৈভব বিলাস এবং প্রাভব প্রকাশ। শ্রীমতি রাধারাণীর বিস্তারও তেমনভাবেই বর্ণিত হয়েছে। বৈকুন্ঠের লক্ষ্মীগণ হচ্ছেন শ্রীমতী রাধারাণীর বৈভব বিলাস, এবং দ্বারকার মহিষীগণ হচ্ছেন তাঁর প্রাভব প্রকাশ। রাধারাণীর সখীরা, ব্রজাঙ্গনারা হচ্ছেন তাঁর নিজের কায়ব্যূহ। তাঁর অপ্রাকৃত বিস্তাররূপে ব্রজাঙ্গনারা শ্রীমতি রাধারাণীর পরিচালনায় শ্রীকৃষ্ণকে আনন্দ দান করেন। চিৎ-জগতে বৈচিত্রের মাধ্যমে পূর্ণরূপে আনন্দ আস্বাদন করেন। শ্রীমতী রাধারাণীর মতো বহু কান্তা, যাঁরা গোপী বা সখী নামে পরিচিত, তাঁদের সঙ্গ প্রভাবে অপ্রাকৃত রস বর্ধিত হয়। বহু কান্তার বৈচিত্র শ্রীকৃষ্ণের রস আস্বাদনের কারণ, এবং তাই শ্রীকৃষ্ণের আনন্দ বিধানের জন্য রাধারাণীর এই সমস্ত বিস্তার প্রয়োজন। তাঁদের অপ্রাকৃত প্রেম বিনিময় বৃন্দাবন লীলার পরম উৎকর্ষ। শ্রীমতী রাধারাণী তার এই কায়ব্যূহ বিস্তারের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণকে রাসনৃত্য ও সেই রূপ লীলাবিলাসের আনন্দ আস্বাদন করান। রাসলীলারূপ পুষ্পের মধ্যবর্তী দলও হচ্ছেন শ্রীমতী রাধারাণী।

শ্রীল স্বরূপ দামোদর গোস্বামীর কড়চা গ্রন্থেও একটি শ্লোকেও শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তিরূপে শ্রীমতী রাধারাণীর আবির্ভাব প্রসঙ্গ সমর্থন করে বলা হয়েছে–

রাধা কৃষ্ণপ্রণয়বিকৃতিহ্লাদিনীশক্তিরস্মা-

দেকাত্মানাবপি ভুবি পুরা দেহভেদং গতৌ তৌ।

চৈতন্যাখ্যং প্রকটমধুনা তদ্বয়ঞ্চৈক্যমাপ্তং

রাধাভাবদ্যুতিসুবলিতং নৌমি কৃষ্ণসরূপম্ ॥ (চৈঃ চঃ আদি ৪/৫৫)

অর্থাৎ, “শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের প্রণয় ভগবানের হ্লাদিনী শক্তির বিকার। শ্রীমতী রাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণ একাত্মা। কিন্তু একাত্মা হলেও তাঁরা অনাদি কাল থেকে গোলোকে পৃথক দেহ ধারণ করে আছেন। এখন সেই দুই চিন্ময় দেহ পুনরায় যুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য নামে প্রকট হয়েছেন। শ্রীমতী রাধারাণীর এই ভাবও অঙ্গকান্তিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণ স্বরূপ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যকে আমি প্রণতি নিবেদন করি।”

বাস্তবিকই শ্রীগৌরাঙ্গদেবের তাৎপর্য বুঝতে হলে শ্রীমতী রাধারাণীকে ভালভাবে বুঝতে হয়।

শ্রী-চৈতন্য-চরিতামৃত গ্রন্থে পরবর্তী শ্লোকে (আদি ৪/৮২) বর্নিত শ্রীমতী রাধারাণীর নামগুলির দ্বারা তাঁকে সম্বোধন করা হয়–

গোবিন্দানন্দিনী রাধা, গোবিন্দমোহিনী।

গোবিন্দসর্বস্ব, সর্বকান্তা-শিরোমণি ॥

শ্রীমতী রাধারাণী হচ্ছেন শ্রীগোবিন্দের আনন্দদায়িনী, এবং তিনি গোবিন্দমোহিনীও। তিনি গোবিন্দের সর্বস্ব, এবং সমস্ত কান্তাদের শিরোমণি।

দেবী কৃষ্ণময়ী প্রোক্তা রাধিকা পরদেবতা

সর্বলক্ষ্মীময়ী সর্বকান্তিঃ সম্মোহিনী পরা ॥

“পরদেবতা অর্থাৎ পরমারাধ্য শ্রীমতী রাধারাণী সাক্ষাৎ ‘কৃষ্ণময়ী’, ‘সর্বলক্ষ্মীময়ী’, ‘সর্বকান্তি’, ‘কৃষ্ণ-সম্মোহিনী’ ও ‘পরাশক্তি’ বলে কথিত হয়েছেন।”

এই শ্লোকটি ‘বৃহদ্ গোতমীয় তন্ত্র’ থেকে শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃত গ্রন্থে শ্রীমতী রাধিকার মাহাত্ম বর্ণনা প্রসঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে– (আদিলীলা ৪/৮৩)

‘দেবী’ কহে দ্যোতমানা, পরমা সুন্দরী

কিম্বা, কৃষ্ণপূজা-ক্রীড়ার বসতি নগরী ॥ (৮৪)

কৃষ্ণময়ী– কৃষ্ণ যার ভিতরে বাহিরে।

যাঁহা যাঁহা নেত্র পড়ে তাঁহা কৃষ্ণ স্ফুরে ॥ (৮৫)

দ্যুতিবিশিষ্টা পরমা সুন্দরী বলে, কিংবা কৃষ্ণপূজারূপ যে ক্রীড়া, তার বসতি-স্থান বলে তিনি ‘দেবী’। যাঁর অন্তরে এবং বাইরে সর্বত্রই কৃষ্ণ বিরাজ করছেন, তিনিই ‘কৃষ্ণময়ী’। তিনি যেখানেই দৃষ্টিপাত করেন, সেখানেই তিনি কৃষ্ণকে দর্শন করেন।

কিম্বা, প্রেমরসময় কৃষ্ণের স্বরূপ।

তাঁর শক্তি তাঁর সহ হয় একরূপ ॥ (৮৬)

কৃষ্ণবাঞ্ছা-পূর্তিরূপ করে আরাধনে।

অতএব ‘রাধিকা’ নাম পুরাণে বাখানে ॥ (৮৭)

কিংবা তিনি শ্রীকৃষ্ণেরই স্বরূপ, কেন না তিনি প্রেমরসময়। শ্রীকৃষ্ণের শক্তি এবং স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ থেকে অভিন্ন। তাঁর আরাধনা হচ্ছে কৃষ্ণবাঞ্ছা-পূর্তি। তাই পুরাণে তাঁকে ‘রাধিকা’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

রাধা নামটি প্রকাশিত হয়েছে আরাধনা শব্দ থেকে। যার অর্থ হচ্ছে উপাসনা করা। যিনি শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় সর্বশ্রেষ্ঠা তাঁরই নাম রাধিকা।

‘শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃত’ গ্রন্থে শ্রীল প্রভুপাদের তাৎপর্যে এইভাবে শ্রীমতী রাধিকার মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

গোপিকাগণের প্রধানা হচ্ছেন শ্রীমতী রাধারাণী। সেই গোপিকাধামে শ্রীমতী রাধারাণীর আনন্দ উপলব্ধির উদ্দেশ্যে কত লোক সর্বস্ব পরিত্যাগ করে ব্রজধামে গিয়ে থাকেন। এই কারণে বহু ঋষি দিব্য আনন্দের অনুসন্ধান করতে শ্রীরাধিকার লীলাস্থলীতে গেছেন যুগে যুগে। সেই আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন রাধা।

রাধারাণীকে আমরা সবাই বেশি বুঝতে পারব না। কৃষ্ণকে আমরা ভাল বুঝি। রাধারাণী আমাদের সকলের পূজনীয়া, তিনি হচ্ছেন অলৌকিক, অতুলনীয়া এবং শক্তিমত্তার অদ্বিতীয়া। শ্রীরাধাভজনা করলে তবেই শ্রীকৃষ্ণ ভজনার পথ খুঁজে পাওয়া যায়। শ্রীরাধিকা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গ লাভে অসীম আনন্দ লাভ করেন।

শ্রীকৃষ্ণও শ্রীরাধিকার মাধ্যমে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রেমানন্দ উপভোগ করে থাকেন। সমস্ত লক্ষ্মীর (গোপীর) মধ্যে প্রধান হচ্ছেন রাধা।

যখন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে আবির্ভূত হয়েছেন, তখন অল্প সময়ের ব্যবধানে রাধারাণীও আবির্ভাব হয়। শ্রীরাধারাণীর জন্মের সময় থেকে দুই চক্ষু মুদিত রাখতেন। সকলেই ভাবলেন, রাজা বৃষভানুও ভাবলেন, তাঁর কন্যা অন্ধ হয়েই জন্ম গ্রহণ করেছে। পরে একদিন ঘটনাক্রমে শিশু কৃষ্ণ এসে যখনই শিশুকন্যা রাধারাণীর মুখের ওপর ঝুঁকে তাঁকে দেখতে চাইলেন, অমনি রাধা তাঁর চোখ মেলে তাকিয়ে জীবনে প্রথম তাঁর চক্ষু সার্থক করলেন। শ্রীকৃষ্ণের মুখচন্দ্রিমা দর্শন করে! সে এক অলৌকিক যোগাযোগ!

শ্রীরাধিকার জন্মতিথি রাধাষ্টমী উদযাপন করলে শত শত যজ্ঞ অনুষ্ঠানের সুফল অর্জন করা যায়। রাধাষ্টমী যে পালন করে, তার একাদশী পালনের সুফল থেকেও শতগুণ ফল লাভ হয়। যে রাধাষ্টমী পালন করে, তার এতই সম্পদ হয়, যা মেরুপর্বতে যত সোনা সঞ্চিত আছে, তার থেকেও বেশি সম্পদ লাভ হয়।

যারা রাধাষ্টমী পালন করে, তারা সবাই শুদ্ধ কৃষ্ণভক্ত হয়ে ওঠে। এক পাপী ভাবল, অন্যান্যভাবে ধনসম্পদ অর্জন করব এবং নিজের আলয় ছেড়ে দান ধ্যান করব। এক জায়গায় গিয়ে সে দেখল, ভক্তগণ কোন উৎসবের আয়োজন করছে। সেখানে শ্রীমতী রাধারাণীর পূজার চন্দন, দীপ, ধুপ, কাপড়, খাদ্যদ্রব্য, কীর্তনগীতের আয়োজন ছিল। তখন পাপী লোকটি জিজ্ঞেস করল। ‘আপনারা কি করছেন?’

তাঁরা বললেন, আজ হচ্ছে রাধাষ্টমী– যে দিনে রাধার আবির্ভাব হয়েছে। আমরা যত্ন করে তাই এই দিনটি পালন করছি। যারা এই অষ্টমী পালন করে, তার সমস্ত পাপ দূর হয়ে যায়।

তখন সেই পাপী ঐ সব ভক্তদের সাথে রাধাষ্টমী পালন করল। তারপরে বিষ্ণুদূতেরা এসে তাঁকে বৈকুন্ঠলোকে নিয়ে চলে গেলেন। যে সব মহিলা রাধাষ্টমী পালন করে না, তাদের সর্বনাশ হয়। রাধার কৃপায় নারী সমাজের কল্যাণ হয়। কিন্তু অনেকেই জানে না রাধারাণীর মাহাত্ম্য। শ্রীকৃষ্ণের যেমন অনন্ত গুণ, শ্রীরাধিকারও অনন্ত গুণ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন