ভক্তরা জানেন–তাঁদের মৃত্যু নেই

 শ্রীমদ্ভাগবতের (৪/২৯/৭৬-৭৭) শ্লোক দুটিতে বলা হয়েছে, শুঁয়োপোকা যেমন একটি পাতা অবলম্বন করে পূর্ববর্তী পাতাটি পরিত্যাগ করে, তেমনই, জীব তার পূর্ববর্তী কর্ম অনুসারে, অন্য আর একটি শরীর অবলম্বন করে তার বর্তমান শরীর ত্যাগ করে। তার কারণ, মন হচ্ছে সর্বপ্রকার বাসনার আগার।



শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এই প্রসঙ্গে যে সুদীর্ঘ তাৎপর্য বর্ণনা করেছেন, তা আমাদের বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। জড় কার্যকলাপে মগ্ন জীব জড়দেহের প্রতি অত্যন্ত আসক্ত হয়ে পড়ে। এমন কি, মৃত্যুর সময়েও তার শরীর এবং শরীরের সঙ্গে সম্পর্কিত আত্মীয়-স্বজনের কথা সে চিন্তা করে। তার ফলে সে দেহাত্মবুদ্ধিতে এতই মগ্ন থাকে যে, মৃত্যুর সময়েও তার বর্তমান শরীরে সে ত্যাগ করতে চায় না। কখনও কখনও দেখা যায় যে, মরণোন্মুখ ব্যক্তি দেহত্যাগ করার পূর্বে বহুদিন মূর্চ্ছিত অবস্থায় থাকে। তা বিশেষভাবে তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা মনে করে– তাদের ছাড়া সারা দেশ বা সমাজ বুঝি অচল হয়ে পড়বে।

একে বলা হয় মায়া। রাজনৈতিক নেতারা তাদের পদ ছাড়তে চায় না। হয় শত্রুর গুলিতে অথবা মৃত্যুর আগমনে তাদের পদত্যাগ করতে হয়। দৈবের আয়োজনে জীব আর একটি শরীরে প্রাপ্ত হয়, কিন্তু তার বর্তমান শরীরের প্রতি আকর্ষণের ফলে, সে অন্য আর একটি শরীরে দেহান্তরিত হতে চায় না। তখন তার বর্তমান শরীর ত্যাগ করে অন্য আর একিটি শরীর গ্রহণ করতে প্রকৃতি তাকে বাধ্য করে।

প্রকৃতেঃ ক্রিয়মানানি গুণৈঃ কর্মাণি সর্বশঃ

অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কর্তাহমিতি মন্যতে ॥ (গীতা ৩/২৭)

“জড়া প্রকৃতির তিনটি গুণের প্রভাবে বিমূঢ় জীবাত্মা নিজেকে কর্তা বলে অভিমান করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা সবই সম্পাদিত হয় প্রকৃতির দ্বারা।”

জড়া প্রকৃতি অত্যন্ত শক্তিশালী, এবং জড়া প্রকৃতির গুণগুলি জীবকে অন্য আর একটি শরীর গ্রহণ করতে বাধ্য করে। তা বোঝা যায় যখন জীবকে উন্নততর শরীর থেকে নিকৃষ্ট শরীরে দেহান্তরিত হতে হয়। বর্তমান শরীরে যে কুকুর কিংবা শূকরের মতো আচরণ করে, সে অবশ্যই তার পরবর্তী জীবনে কুকুর অথবা শুকরের শরীর গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। কোন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির শরীর উপভোগ করতে পারে, কিন্তু যখন সে বুঝতে পারে যে, তাকে কুকুর বা শুকরের শরীর গ্রহণ করতে হবে, তখন তার বর্তমান শরীরটি সে ত্যাগ করতে চায় না। তাই মৃত্যুর পূর্বে বহুদির মূর্চ্ছিত অবস্থায় সে পড়ে থাকে। বহু রাজনীতিবিদের মৃত্যুর সময়ে তা দেখা গেছে।

মূল কথা হচ্ছে, পরবর্তী শরীরটি দৈবের নিয়ন্ত্রণাধীনে ইতিমধ্যেই নির্ধারিত রয়েছে। জীবন এক দেহ ত্যাগ করার পরেই আর একটি দেহে প্রবেশ করে। কখনও বা জীবন অনুভব করে যে, তার বর্তমান শরীরের মাধ্যমে তার অনেক বাসনা ও কল্পনা পূর্ণ হয়নি। যারা তাদের শরীরের প্রতি অত্যন্ত আসক্ত, তাদের প্রেতশরীরে থাকতে হয় এবং তারা অন্য আর একটি স্থুল শরীর ধারণ করতে পারে না। প্রেত শরীরে তারা প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনদের নানারকম উপদ্রব করে। এই প্রকার পরিস্থিতির মূল কারণ হচ্ছে মন। মন অনুসারে বিভিন্ন প্রকার শরীর তৈরী হয়, এবং জীবকে তা গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। গীতায় (৮/৬) সেই কথা প্রতিপন্ন হয়েছে–

যং য বাপি স্মরণ্ ভাবং ত্যজত্যন্তে কলেবরম্ ।

তং তমেবৈতি কৌন্তেয় সদা তদ্ভাবভাবিতঃ॥

“শরীর ছাড়ার সময়ে মানুষ যে অবস্থা স্মরণ করে, নিঃসন্দেহে সেই অবস্থা সে প্রাপ্ত হয়।”

মানুষ তার শরীর ও মনের দ্বারা কুকুরের মতো আচরণ করতে পারে অথবা দেবতার মতো আচরণ করতে পারে, এবং সেই অনুসারে তার পরবর্তী জীবন সে প্রাপ্ত হবে। তার বিশ্লেষণ গীতায় (১৩/১২) করা হয়েছে–

পুরুষঃ প্রকৃতিস্থো হি ভুঙ্‌তে প্রকৃতিজান্ গুণান্।

কারণং গুণসঙ্গোহস্য সদসদ্যোনিজন্মসু ॥

“জড়া প্রকৃতিতে জীব প্রকৃতির তিনটি গুণ ভোগ করে। গুণের এই সঙ্গ প্রভাবে উত্তম বা অধম যোনিতে সে জন্মগ্রহণ করে।”

গুণের সঙ্গ অনুসারে জীব উৎকৃষ্ট অথবা নিকৃষ্ট শরীরে দেহান্তরিত হয়। যদি সে তমোগুনের সঙ্গ করে, তা হলে পশু অথবা নিকৃষ্ট স্তরের মানুষের শরীর সে প্রাপ্ত হয়; কিন্তু যদি সে সত্ত্বগুণ বা রজোগুণের সঙ্গ করে, তা হলে সেই অনুসারে সে দেহ প্রাপ্ত হয়। সেই কথাও গীতায় (১৪/১৮) প্রতিপন্ন হয়েছে–

ঊর্ধ্বং গচ্ছন্তি সত্ত্বস্থা মধ্যে তিষ্ঠন্তি রাজসাঃ।

জঘন্যগুণবৃত্তিস্থা অধো গচ্ছন্তি তামসাঃ ॥

“যারা সত্ত্বগুণে অধিষ্ঠিত, তারা ক্রমশ উচ্চতর গ্রহলোকে উন্নীত হয়, যারা রজোগুণে রয়েছে, তারা ভূর্লোকে অবস্থান করে; আর যারা তমোগুণের দ্বারা প্রভাবিত, তারা নরকে যায়।”

সঙ্গের মূল কারণ হচ্ছে মন। এই মহান কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন মানব-সমাজের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ, কারন তা মানুষকে ভগবদ্ভক্তি সম্পাদন করার মাধ্যমে সর্বদা শ্রীকৃষ্ণের কথা চিন্তা করার শিক্ষা দান করছে। এইভাবে, জীবনের অন্তে মানুষ শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গ লাভ করতে পারবে। এক বলা হয়– নিত্যলীলাপ্রবিষ্ট, অর্থাৎ গোলোক বৃন্দাবনে প্রবেশ। ভঘবদ্গীতায় (১৮/৫৫) সেই কথা বিশ্লেষণ করা হয়েছে–

ভক্ত্যা মামভিজানাতি যাবান্ যশ্চাস্মি তত্ত্বতঃ।

ততো মাং তত্ত্বতো জ্ঞাত্বা বিশতে তদনন্তরম্ ॥

“ভক্তির দ্বারাই কেবল ভগবানকে তত্ত্বত জানা যায় এবং কেউ যখন এই প্রকার ভক্তির দ্বারা পূর্ণরূপে ভগবৎ-চেতন প্রাপ্ত হন, তখন তিনি ভগবদ্ধামে প্রবেশ করেন।”

মন যখন পূর্ণরূপে কৃষ্ণভাবনায় মগ্ন হয়, তখন গোলোক বৃন্দাবন নামক গ্রহলোকে প্রবেশ করা যায়। ভগবানের সঙ্গ লাভ করতে হলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানতে হয়। শ্রীকৃষ্ণকে জানার পন্থা হচ্ছে ভগবদ্ভক্তি।

শ্রীকৃষ্ণকে তত্ত্বত জানার পর, কৃষ্ণলোকে প্রবেশ করে তার সঙ্গ করার যোগ্যতা লাভ হয়। এই প্রকার অতি উচ্চ পদ প্রাপ্ত হওয়ার কারণও হচ্ছে মন। মনের দ্বারা কেউ কুকুর বা শূকরের শরীর প্রাপ্ত হতে পারে, আবার ভগবানের নিত্য পার্ষদের শরীর লাভ করতে পারে। তই মনকে সর্বদা কৃষ্ণভাবনায় মগ্ন রাখাই মানব-জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সিদ্ধি।

শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ বর্ণিত এই তাৎপর্য বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, এই জীবনে আমরা যা কিছু করি, তা সবই পরের জীবনে আমাদের উৎপত্তির কারণ। যেমন ছাত্রজীবনে যে যেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে, সেইভাবেই সে তার জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে যেদিকে ইচ্ছা যেতে পারে।

ঠিক এইভাবেই শাস্ত্রে বলা হয়েছে, মৃত্যুকালে আমরা যা চিন্তা করি, পরজন্মে তাই আমাদের জীবনে হয়। কেনও পুরুষ যদি মরণকাল পর্যন্ত কেবলই নারীর চিন্তা করতে থাকে, বৈদিক শাস্ত্রের জন্মান্তরবাদ তত্ত্বে বলা হয়েছে– পরজন্মে সে নারীজন্ম পেতে পারে।

বাস্তবিকই, আমাদের ইহজীবনেও এখন যা অভ্যাস করছি, পরবর্তী বয়সকালে, তেমনই জীবনধারা লাভ হয়– এই কথা অনস্বীকার্য সত্য।

তেমনি, যারা চিন্ময় আনন্দে পরিপূর্ণ চিরনবীন গোলোক বৃন্দাবনের দিব্য গ্রহলোকে যাঁরা ফিরে যেতে চান, তাঁদেরও মন এখন থেকে তৈরী করতে হবে। অর্থাৎ গোলোক বৃন্দাবনের অধিপতি পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাকথায় সদাসর্বদা মন ভরিয়ে রাখতে হবে, যাতে মরণোন্মুখ হলেও কৃষ্ণচিন্তা থেকে মন বিরূপ হতে পারবে না এবং তেমন কৃষ্ণোন্মুখ মনের যিনি অধিকারী, সচ্চিদানন্দময় নিত্য গোলোক বৃন্দাবনধামে পরজন্ম অতিবাহিত করার সৌভাগ্যও তাঁর অর্জিত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা থাকে। কারণ কৃষ্ণচিন্তার মাধ্যমে তাঁর ব্রহ্মতত্ত্ব জ্ঞান অন্তিমকালেও মনে থাকবে– যে-জ্ঞান গোলোকধাম প্রাপ্তির একমাত্র পাথেয়।

কাঁচা বাঁশ সহজে বাঁকানো যায়, কিন্তু পাকা বাঁশ বেঁকাতে গেলে ভেঙে যায়। তেমনি, ছোট বয়স থেকে কৃষ্ণকথা শ্রবণ ও কীর্তনের অভ্যাস করাতে পারলে শেষ বয়সে আপনা হতেই কৃষ্ণভবানামৃত আস্বাদনের দিব্য রুচি সৃষ্টি হতে পারে। এই জন্য পাঁচ বছর বয়স থেকেই শিশু সন্তানদের কৃষ্ণভাবনাময় পরিবেশে কৃষ্ণভাবনামৃত আস্বাদনের সুযোগ-সুবিধা করে দিতে হয়– তাদের কৃষ্ণমন্দিরে নিয়মিত নিয়ে যেতে হয়, গৃহপরিবেশে কৃষ্ণভজনা, কৃষ্ণলীলা আলোচনা-পর্যালোচনার নিয়মিত আয়োজন করতে হয়, কৃষ্ণনাম ভজন-কীর্তনের ব্যবস্থা করতে হয়। তাতে মানুষের জীবনের শুদ্ধ সাত্ত্বিক মানসিকতার সৃষ্টি হয় এবং সেই ধরনের মানসিকতাই ভগববদ্ভক্তির অনুকূল হয়।

বিজ্ঞানের যুগে আজ নানা রকমের যন্ত্রপাতি আর কলকব্জা সৃষ্টি হয়েছে বলে লোকে মনে করে ঐসব যন্ত্রের আনুকূল্যে তারা অফুরন্ত সুখ-শান্তির অধিকারী হতে পারবে। তা কিন্তু বাস্তবিক সত্যি নয়। বিজ্ঞানের কল্যাণে সমাজে যতই উন্নতি হোক, জরা ব্যাধি মৃত্যু থেকে কারও পরিত্রাণ নেই। আজকাল অনেক রকমের নতুন নতুন রোগ-ব্যাধি হচ্ছে, যা আগে দেখা যেত না। লোকে জানে না– ভবিষ্যতে আরও কত ব্যাধির প্রকোপ দেখা দেবে, মানুষ তাতে কষ্ট পাবে, মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগ করতে বাধ্য হবে।

এই জন্য প্রত্যেক মানুষেরই স্পষ্টভাবে জানার চেষ্টা করা উচিত– জন্ম কি, মৃত্যু কি, জীবন কি? পশুরা সকল বিষয়ে ভয় পায়, কারণ তারা এই সব তত্ত্ব জানে না। কিন্তু মানুষ ভয় করে না, কারণ সে এই সকল পারমার্থিক বিষয়ে যুগ যুগ ধরে আত্মনুসন্ধানের মাধ্যমে পরমতত্ত্ব আহরণ করতে পেরেছে। দুর্লভ মানব তাই বুদ্ধিমান মানুষ জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধির রহস্য জানতে আগ্রহী হয়। এই রহস্যের মহাসিন্ধু পার হওয়াই মানব-জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যে বলে তত্ত্বজ্ঞ মহাপুরুষেরা যুগে যুগে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এইজন্য বৈষ্ণব মহাজনেরা গেয়েছেন–

দুর্লভ মানব জনম সৎসঙ্গে

তরহ এ ভবসিন্ধু রে।

বর্তমান মানব-সভ্যতার কান্ডারী শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এই বিষয়ে অভয় দিয়েছেন– কৃষ্ণভাবনামৃত আস্বাদন করলে দুর্গম ভবসিন্ধু পার হওয়া সহজ হবে এবং জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধির আবর্ত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।

জনপ্রিয় চিত্রাভিনেতা উত্তমকুমার অসুস্থ হয়েছিলেন, ডাক্তার বলে দিয়েছিলেন– তিনি বেশিদিন থাকবেন না, তাঁকে প্রস্তুত হতে বলেছিলেন। উত্তমকুমার বলেন, আমাকে আর কিছুদিন বাঁচতে দিন, বাঁচতে চাই।

ডাক্তার ভেবেছিলেন, তাঁর চিকিৎসায় উত্তমকুমার আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারবেন। উত্তমকুমার তবু হঠাৎ একদিন মারা গেলেন। ডাক্তার বললেন, অনেকবার ওঁকে তো বাঁচিয়েছি– এই একবারই ফেল হয়ে গেল!

জন্ম-মুত্যু-জরা-ব্যাধির অমোঘ বিধির কাছে ঐরকম সব ডাক্তারকেই ফেল করতে হয়।

ভগবদ্ভক্তরা জানেন- তাঁদের মৃত্যু হবে না। কারণ তাঁরা গীতা অনুধ্যান করে আন্তরিকভাবেই উপলব্ধি করেছেন যে, তাঁরা চিন্ময় জীবাত্মা– ন হন্যতে হন্যমানে– কেউ সেই আত্মাকে বধ করতে পারে না। ভক্ত তাঁর শরীর পরিত্যাগ করেন, নতুন জীবন লাভ করেন– তাঁর নিত্য ধামে ফিরে যান। তাঁর ভয়ের কি কারণ?

বাস্তবিকই গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়টি ভালভাবে পাঠ এবং মনোনিবেশ সহকারে অনুধ্যান করতে পারলে, যে কোনও প্রকৃত বুদ্ধিমান মানুষ উপলব্ধি করতে পারে যে, মৃত্যুর কোনও ভয় নেই– কোনও জীবাত্মার মৃত্যু হয় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন