সত্য-ত্রেতা-দ্বাপর-কলি

 সত্য-ত্রেতা-দ্বাপর-কলি── এই চারযুগ মিলে সম্পূর্ণ হয় ১ চর্তুযুগ, মানে ৪৩ লক্ষ ২০ হাজার বছর। এখন ১০০০ চর্তুযুগ মানে সত্য-ত্রেতা-দ্বাপর-কলি এভাবে এক হাজার বার ঘুরতে ঘুরতে সম্পূর্ণ হবার পর হয় এক কল্প। আপাতত কল্প পর্যন্ত বুঝুন, আর এগোলাম না।


মার্কন্ডেয় ঋষি ৯ কল্প বেঁচে থাকার আশীর্বাদ পেয়েছিলেন ভগবানের কাছে, অর্থাৎ ৩৮,৮৮০,০০০,০০০ বছর। আপনারা হয়তো ভাবচ্ছেন আমি এই হিসাব-নিকাশ কেন করছি? তাহলে মন দিয়ে শ্রবণ করুন, কেমন!
প্রলয়ের সময় সমগ্র পৃথিবী জল-মগ্ন ছিল। মার্কন্ডেয় ঋষি সেই প্রলয়-জলে ভাসতে থাকেন। তখন তিনি ভাসতে ভাসতে নবদ্বীপ ধামের গোদ্রুম দ্বীপে এসে পৌঁছান। সেখানে এক সুরভী গাভী তাঁকে দুধ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। এভাবেই তিনি শুধুমাত্র দুধ খেয়ে ৯ বছর নয়, ৯ যুগ নয়, ৯ কল্প জীবিত ছিলেন।
👉#আমি_যেটা_বুঝাতে_চাচ্ছি, এই কলিযুগে গড় আয়ু নির্ধারিত সর্ব্বোচ ১০০ বছর। (ভগবানের কৃপা-অাশীর্বাদে আপনার আরো কিছু বোনাস বছর হলেও হতে পারে), ❝ আপনি এই ক্ষুদ্র জীবন-প্রণালীতে নানারকম যুক্তি দেখান যে মাছ, মাংস ছাড়া মানুষ বাঁচে নাকি! এগুলো ছাড়া শরীর অচল, এই.........সেই।❞
ঠিক আছে, ভাল কথা! মার্কন্ডেয় ঋষি উনার দীর্ঘ আয়ুতে কেবল দুধ খেয়েই জীবিত ছিলেন। কই উনার শরীর তো অচল হয়নি? আপনি বলবেন, আরে সাধু! উনি মুনিঋষি, তারা পারবেই।
তবুও সেটা আমি মেনে নিলাম। কিন্তু আপনার মতো দেখতে সাধারণ মানুষরাই আজ মাছ, মাংস খাচ্ছে না, তাহলে কি তাঁদের শরীর অচল হয়ে যাচ্ছে। আমার বন্ধুদের দেখেছি তাঁরা ঘন ঘন রোগাগ্রস্ত হচ্ছে, প্রতিনিয়ই হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। কই আমি তো গত ১২ বছরে একবারও হাসপাতালের দৌড়গোঁড়ায় গেলাম না। তাহলে আমি কি অস্বাভাবিক?
না ভাই, আমিও আপনার মতোই একজন সাধারণ মানুষ। তাই অযথা যুক্তি না দিয়ে ভগবানের নিবেদিন প্রসাদ গ্রহণ করুন, জীবহত্যা থেকে একশহাত দূরে থাকুন।
আমি বলছি আপনার মঙ্গল হবেই হবে। তখন আপনার জীবের প্রতি দয়া হবে। আর জীবে দয়া হলে নামে রুচি বাড়বে। #তখন_কি_হবে❓
তখন আপনি বৈকুন্ঠপ্রাপ্তি হবেন, ভগবানের নিত্য আলয়ে প্রবেশ করবেন। এটাই প্রত্যেক জীবের একমাত্র, একমাত্র এবং একমাত্র উদ্দেশ্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন