বৈদিক শাস্ত্রের জ্ঞান অবশ্যই পরম্পরাক্রমে প্রাপ্ত হতে হয়

 



বৈদিক শাস্ত্রের জ্ঞান অবশ্যই পরম্পরাক্রমে প্রাপ্ত হতে হয়। সায়নাচার্য সহ বেদের একাধিক টীকাকার তাদের বেদভাষ্যে পরম্পরাগতভাবে বেদজ্ঞান প্রাপ্ত হওয়ার কথা লিখেছেন। শ্রীমদ্ভাগবতেও বর্ণিত হয়েছে কীভাবে ব্যাসদেব সমস্ত শাস্ত্র লিপিবদ্ধ করে তা শিষ্যদের প্রদান করেছিলেন এবং কীভাবে সেউ জ্ঞান পরম্পরাক্রমে বাহিত হয়ে আসছে।

গীতায়ও বলা হয়েছে, “এবং পরম্পরাপ্রাপ্তং...” পরম্পরাক্রমে এই জ্ঞান চলে আসছে। স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান হতে বৈদিক শাস্ত্রসমূহ প্রকাশিত হয়েছে এবং যুগ যুগ ধরে গুরু-শিষ্য পরম্পরা ধারায় এই জ্ঞান প্রবাহিত হয়ে আসছে। এরূপ সদপরম্পরাভুক্ত শ্রীগুরুদেবের নিকট হতে যিনি বৈদিক জ্ঞান লাভ করবেন তিনিই যথার্থ জ্ঞানী। তিনিই অধ্যয়ন ও অধ্যাপন করার যোগ্য।
এজন্যই বৈদিক ভারতে গুরুকূল ব্যাবস্থার পত্তন হয়েছিল। কোন ব্যাক্তি বাল্যকালে স্ববর্ণোচিত নিয়মানুসারে উপনয়ন প্রাপ্ত হয়ে গুরুকূলে গমন করতেন। সেখানে বেদাদি শাস্ত্র অধ্যয়ন করতেন।
এখন আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা দয়ানন্দ সরস্বতীর গুরু ছিলেন বিরজানন্দ দন্ডীশ, যিনি শঙ্করাচার্য প্রবর্তিত দশনামী (গিরি) সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী ছিলেন। কিন্তু দয়ানন্দ স্পষ্টতই শঙ্করাচার্যের মতকে অস্বীকার করেছেন এবং স্বকপোলকল্পিত ত্রৈতবাদ স্থাপন করেছেন। আর আর্যসমাজের অন্যান্য ভাষ্যকারেরাও সেই মনগড়া ত্রৈতবাদ অনুসারেই বেদভাষ্য করেছেন।
কাজেই দেখা যায় দয়ানন্দ তথা আর্যসমাজীদের যে ভাষ্য তা কোন সদপরম্পরা ধারায় আগত নয়। বরং তাদের মনগড়া ভাষ্য। একারণেই সেসব ভাষ্যে মূর্তিপূজার বিরোধ থেকে শুরু করে টেলিগ্রাফ ইত্যাদি যন্ত্রের কথাও পাওয়া যায়।
আর বাংলাদেশ অগ্নিবীরের বেদ অনুবাদ ঐসকল মনগড়া ভাষ্য অনুসারেই রচিত। এধরণের মনগড়া ভাষ্য পড়ে কখনো কারোর কল্যাণ কর হতে পারে? পরম্পরাবিহীন এসব ভাষ্য পড়া কী উচিৎ? স্বয়ং বিচার করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন