আসছে আগামী ১৫ ই মে অক্ষয়তৃতীয়া তিথি। অক্ষয়তৃতীয়া মাহাত্ম্য,
অক্ষয়তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি।অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না । এবং এই তিথির অনেক গুলো গুরত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে ।
১। এই তিথিতে ভগবানের ৬ ষষ্ঠ তম অবতার পরশুরামের শুভ আবির্ভাব।
২। এই তিথিতে সত্য যুগের সূচনা হয়েছিল ।
৩। এই তিথিতে মাধবেন্দ্রপুরীপাদ ক্ষীরচোরা গোপীনাথের শরীরে চন্দন লেপন করেছিলেন ।
৪। এই তিথিতে রাজা ভগীরত গঙ্গাদেবীকে স্বর্গ
থেকে মর্ত্যে লোকে নিয়ে এসেছিলেন।
৫। এই তিথিতে গনেশ বেদব্যাসের কাছ থেকে শুনে মহাভারত রচনা শুরু করেছিলেন ।
৬। পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার রথ নির্মান কাজ শুরু হয় এই তিথিতে ।
৭। অপর দিকে কেদার, বদ্রী, গঙ্গোত্রী, যমুনেত্রীর যে মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে এই তিথিতে তার দ্বার উন্মোচন করা হয় ।
৮। এই তিথিতে দেবী অন্নপূর্ণার অবির্ভাব হয়েছিল ।
৯। এই তিথিতে ভক্তরাজ সুদামা ও শ্রীকৃষ্ণের মিলন হয়েছিল ।
১০। এই তিথিতে দ্রৌপদীর বস্ত্র হরন করার চেষ্টা করেছিল৷।
১১। এই তিথিতে কুবেরের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে দেবাদিদেব মহাদেব কুবেরকে অতুলনীয় ঐশ্বর্য লাভের আর্শিবাদ করেছিলেন ।
১২। এই তিথিতে বৃন্দবনে বঙ্কুবিহারীর চরন দর্শন হয়।
১৩। এই তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মানস সরুবরে নৌবিহার করেছিলেন।
১৪। এই তিথিতে সূর্য দেবের কাছ থেকে দ্রৌপদী অক্ষয়পাত্র লাভ করেছিলেন ।
অক্ষয়তৃতীয়াতে আমাদের কি কি করণীয়
গীতা দান, ভগবান এবং ভগবানের ভক্তদের সেবা,
শাস্ত্র অধ্যায়ন, বেশী করে ভগবানের নাম জপ, ভগবানের কথা শ্রবণ করা, অর্থাৎ এই দিনে আপনি যা ভাল কাজ করবেন তা অক্ষয় হয়ে থাকবে, আর আপনি যা কিছু খারাপ কাজ করবেন তাও অক্ষয় হয়ে থাকবে..........
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন