শ্রদ্ধা শ্রীপাদ কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশ


 

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন), বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কীর্তনীয়া ও ভাগবত প্রবক্তা শ্রীপাদ কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারী গত ১৮ মার্চ, ২০২১ খ্রি. দিবাগত রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ৭১ বছর বয়সে এই ধরাধাম ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন ইস্কন বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলাদেশে কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচারের গোড়াপত্তন থেকে শুরু করে আজ অবধি যে প্রচার পরিক্রমা তার মধ্যে শ্রীপাদ কৃষ্ণকীর্তন দাস ব্রহ্মচারীর অবদান অপ্রতিম। তিনি একাধারে বিশ্বখ্যাত কীর্তনীয়া, বিদগ্ধ আলোচক ও একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। বহু গুণে গুণান্বিত এই মহান ব্যক্তিত্ব জীবদ্দশায় এমন সব কীর্তি রেখে গেছেন, যার সাক্ষ্য বৈষ্ণব সমাজ যুগ যুগ বহন করবে।


১৯৪৯ সালে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার ধোঁয়াপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বনাম শ্রী কালিপদ মণ্ডল। তাঁর গুরুদেব শ্রীল জয়পতাকা স্বামী তাঁকে যথার্থ নামে আখ্যায়িত করেছেন- কৃষ্ণকীর্তন নামে তিনি বিশ্বব্যাপী অগণিত মানুষের মাঝে কৃষ্ণ-কীর্তন পরিবেশন করেছেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ভগবানের শ্রীনাম গুণ কীর্তনে নিয়োজিত ছিলেন। 


দিনাজপুর জেলার খানসামা থানাধীন টাঙ্গুয়া স্কুলমাঠে অগণিত ভক্তদের মাঝে তাঁর প্রিয় ভজন হরি বলব আর মদনমোহন হেরিব গো............. ভজন পরিবেশনের পরপরই তিনি ইহলীলা সংবরণ করেন। 


তাঁর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তিনি শ্রীল প্রভুপাদের মিশন ও শ্রীচৈতন্যদেবের বাণী প্রচারে আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া সহ সমগ্র বিশ্বে কৃষ্ণ-কথা ও কীর্তন পরিবেশন করেছেন। উপমহাদেশের কীর্তন জগতে তাঁর অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নবদ্বীপ কীর্তন সম্মেলনে কীর্তন সম্রাজ্ঞী সরস্বতী মাতা কর্তৃক তিনি ‘কীর্তনরসসিন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন। অগণিত ভক্তকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে বরেণ্য এই মহান ভক্ত নিত্যলীলায় প্রবেশ করেছেন।


বৈষ্ণব দাসানুদাস

শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী

সাধারণ সম্পাদক, ইস্কন, বাংলাদেশ।

                                                                                                   ভিডিও করেছেন - ধরাপতি গোপাল দাস

ভিডিও দেখুন  


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন